এক চামচ ফেসপ্যাক একটি পরিষ্কার বাটিতে নিন। এরপর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিচের যেকোনো একটি উপাদান মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন:
🎆 সাধারণ বা মিশ্র ত্বকের জন্য
গোলাপজল, নরমাল পানি বা শসার রসের সাথে মিশিয়ে নিন।
ইচ্ছা করলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যুক্ত করা যেতে পারে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
🎆 তৈলাক্ত (অয়েলি) ত্বকের জন্য
ফেসপ্যাকের সাথে লিকুইড মিল্ক বা মধু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
পরিবর্তে গোলাপজল বা শসার রস ব্যবহার করুন, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণে সহায়ক।
🎆 শুষ্ক ত্বকের জন্য
মিশ্রণে সামান্য লিকুইড মিল্ক, টক দই, অথবা কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল এবং কিছু নরমাল পানি যোগ করুন।
এটি ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে, কোমল ও উজ্জ্বল রাখে।
🕒 প্রয়োগের সময় ও ধোয়ার নির্দেশনা
পরিষ্কার মুখে ফেসপ্যাকটি সমানভাবে লাগান।
১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন বা ফেসপ্যাকটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য প্রতিদিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন, যদি সম্ভব না হয় সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ বার ব্যবহার করুন।
💧 অতিরিক্ত যত্নঃ
ফেসপ্যাক ব্যবহারের পর ইচ্ছা করলে একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা হাইড্রেটিং লোশন প্রয়োগ করতে পারেন।
এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং ফলাফল আরও দ্রুত দৃশ্যমান ও স্থায়ী হয়।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী পরামর্শ:
🎆 তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: হালকা, জেল-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
🎆 শুষ্ক ত্বকের জন্য: রিচ ক্রিম বা অয়েল-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যায়।